‘বাবা-মাসহ আমার পুরো পরিবার ব্রাজিলের সমর্থক’

মাসুমা রহমান নাবিলা। শোবিজে বেশ সফলতার সঙ্গে বিচরণ করছেন। তার প্রথম পরিচিতি আসে উপস্থাপিকা হিসেবে। সাবলীল ও দক্ষ উপস্থাপনা নৈপূণ্যে দর্শকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা পান তিনি। এরপর অমিতাভ রেজা পরিচালিত ‘আয়নাবাজি’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় তার। ২০১৬ সালের শেষদিকে এ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর চারদিক থেকে একটা কথা তিনি শুনে এসেছেন, নাবিলা তুমি হৃদি চরিত্রটা বেশ ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছো।
এ ছবিতে চঞ্চল চৌধুরীর বিপরীতে অভিনয় করে দর্শকদের মনে দাগ কেটেছেন তিনি। কিন্তু এরপর নতুন কোনো ছবিতে এখন পর্যন্ত তাকে পাওয়া যায়নি। এর কারণ কি জানতে চাইলে তিনি মানবজমিনকে বলেন, নতুন ছবির প্রস্তাব পেয়েছি। কিন্তু সত্যি বলতে পছন্দের গল্প আমি এখন পর্যন্ত পাচ্ছি না। মনের মতো গল্প পেলে আবারও চলচ্চিত্রে কাজ করব, এতে কোনো সন্দেহ নেই। নাবিলা গত ২৬শে এপ্রিল ব্যাংকার জুবায়দুল হককে বিয়ে করেন। তাদের বিবাহ অনুষ্ঠান এবং অভ্যর্থনা একই দিনে অনুষ্ঠিত হয়। বিয়ের পর লন্ডনে ঘুরতেও যান তারা। সংসার জীবনের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুই মাস হলো শুশুরবাড়ির সবাই আমাকে বেশ আপন করে নিয়েছে। এটা আমার কাছে বড় একটি পাওয়া। ভালোই লাগছে সংসার জীবন। কয়েকদিন আগে কলকাতার গায়ক অনুপম রায়ের সঙ্গে তারই গাওয়া গানের ভিডিওতে নাবিলার অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়। এরপর অমিতাভ রেজার নির্দেশনায় একটি নতুন বিজ্ঞাপনচিত্রসহ সবশেষ ভালোবাসা দিবসে মিজানুর রহমান আরিয়ানের নির্দেশনায় ‘সংসার’ নাটকে অপূর্বর বিপরীতে দর্শকরা তাকে ছোটপর্দায় দেখেছেন। গত ঈদেও নতুন নাটকে তাকে দেখা যায়নি। এর কারণ কি? নাবিলা জানান, ভালো গল্প আর চরিত্র অনুসন্ধান করছেন তিনি। পছন্দ হলে দাঁড়াবেন ক্যামেরার সামনে। ২০০৬ সালে বাংলাভিশনের ‘এবং ক্লাসের বাইরে’ নামক একটি স্কুল ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে মিডিয়া জগতে ভালোভাবে নাবিলার পথচলা শুরু হয়। তবে এর আগে বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনেও মডেল হিসেবে কাজ করেন তিনি। এরপর এ পর্দাকন্যা এনটিভির লাইভ ক্যুইজ অনুষ্ঠান ‘জানার আছে বলার আছে’ দিয়ে রাতারাতি জনপ্রিয়তা পান। বিপিএল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং আইসিসি বিশ্ব টোয়েন্টি ২০ থেকে ১০০ দিনের কাউন্টডাউনে উপস্থাপনা নাবিলাকে এনে দেয় দারুণ জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা। সামনে কি ধরনের কাজে তাকে দর্শক দেখতে পাবেন জানতে চাইলে বলেন, আমি কখনো চলচ্চিত্রে কাজ করবো ভাবিনি। ‘আয়নাবাজি’ ছবিটির গল্প আমাকে ভীষণ টানে এবং চরিত্রটি করার সময় আমি খুব ভয়ে ছিলাম যে দর্শক পছন্দ করবে কি-না। তবে কাজটি করার আগে অনেক আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর বেশ সাড়া পেয়েছি। এরপর আরো বেশি চলচ্চিত্রে কাজ করতে আমি আগ্রহ প্রকাশ করি। কিন্তু সেই রকমের গল্প না পাওয়াতে এখনো কাজ করা হচ্ছে না। সবশেষে বিশ্বকাপ প্রসঙ্গ। এবারের ফুটবল বিশ্বকাপে কোন দলকে নাবিলা সাপোর্ট করছেন জানতে চাইলে বলেন, ১৯৯৪ সাল থেকে ব্রাজিলকে সাপোর্ট করে আসছি। কারণ বাবা-মাসহ আমার পুরো পরিবার ব্রাজিলের সমর্থক। ব্রাজিলের খেলা আমার ভীষণ ভালো লাগে। তবে আমার বর আর্জেন্টিনাকে সমর্থন করে। হা হা হা। ..